Type Here to Get Search Results !

#Advertisement

শ্রীচৈতণ্যদেবের সংক্ষিপ্ত জীবনী

শ্রীচৈতণ্যদেব 


শ্রী চৈতন্যদেব ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দের ফাল্গুনের দোল পূর্ণিমাতে বাংলাদেশের নবদ্বীপের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, এবং ৪৮ বছর জীবিত থাকিয়া  ১৫৩৪ খ্রিস্টাব্দে ইহলীলা সংবরণ করেন।

তিনি কাটোয়ার কেশব ভারতীর নিকট সন্ন্যাস ধর্ম দীক্ষিত হন। শ্রীচৈতন্যদেবের প্রবর্তিত ধর্ম "বৈষ্ণব ধর্ম"  নামে পরিচিত। তাহার মতে, জীব মাত্র ভগবানের দাস। ভগবানের সঙ্গে তাহার নিত্য সম্বন্ধ। তিনি প্রচার করেন, মানুষের প্রেম, ভগবানে ভক্তি, আর তাহার সাধন ভজন। তিনি আরো প্রচার করেন, একা নয়, নিরবে নয়, গোপনে নয়, দশ জনে মিলে উচ্চস্বরে কীর্তন-ভক্তি পথের সহায়, আত্মরক্ষার সহায়, আত্ম বিস্তারের উপায়।

ছোটবেলায় তিনি দুরন্ত ছিলেন। মনে হয়, ঈশ্বর তাহার দুরন্তপনার মধ্যদিয়াই ( নিত্য,গীত, কীর্তন) প্রেম রস জোগায় ছিলেন। সেকালে অস্পর্শ   চন্ডাল কে তিনি দিলেন উচ্চস্থান। তিনি বলিতেন, "ব্রাহ্মণ হইতে ভক্ত চণ্ডালের স্থান উচ্ছে।"

ব্রাহ্ম বিদ্যালাভ হইলেই সর্ব জ্ঞান লাভ হইবে। জীবনে চরম শান্তি আসিবে। তিনি আরো বলিতেন, যেখানে বিজ্ঞান নিরব, সেইখানেই দর্শনের আবির্ভাব,। দর্শন দিব্য জ্ঞান, জাতিবর্ণ আবার কি?। সে নাম গ্রহণ করিলে সে মুচি হইলেও শুচি। 

চৈতন্যদেবের অমর বাণী সমুহ

 1.পৃথিবীতে মানুষ এসেছে প্রেমধর্মকে সকলের মধ্যে বিলিয়ে দেবার জন্য। প্রেমধর্ম ছাড়া সব কিছুই বৃথা।

2.জীবে প্রেমের মাধ্যমেই আসল অভীষ্টপূর্ণ হয়। সকলের প্রতি ভালোবাসা প্রদান না করলে কখনো আমরা ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌছোতে পারব না।

3.হরিনাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে আত্মা বিশুদ্ধ হয়। সংকীর্তনের মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের সান্নিধ্য অনুভব করতে পারি।

4.এই জগত কৃষ্ণময়,স্থল-জল-অস্তরীক্ষে_সর্বত্র তিনি বিরাজমান। প্রত্যেক মানুষের আত্মার অভ্যন্তরে তীর প্রকাশ।

5.মানুষে মানুষে তুচ্ছ ভেদাভেদ দূর করতে হবে। মানুষ এই জগতে ঈশ্বরের সব্ব্বশ্রেষ্ঠ জীব,সে কথা মনে রাখতে হবে.

6. “শুন শুন নিত্যানন্দ, শুন হরিদাস। সর্বত্র আমার আজ্ঞা করহ প্রকাশ

7.প্রতি ঘরে ঘরে গিয়া কর এই ভিক্ষা। “বল কৃষ্ণ ভজ কৃষ্ণ, কর কৃষ্ণ শিক্ষা।”

8.আর তিন যুগে ধ্যানাদিতে যেই ফল হয়।কলিযুগে কৃষ্ণনামে সেই ফল পায়।।

9.কিবা বিপ্র, কিবা নামী, শূদ্র কেন নয়? যেই কৃষ্ণ তত্ব বেত্তা সেই গুরু হয়।। 

10.“অন্য-বাঞ্ছা , অন্য-পূজা ছাড়ি' “জ্ঞান”, 'কর্ম'। আনুকুল্যে সর্বেন্দ্রীয় কৃষ্ণানুশীলন। এই 'শুদ্ধভক্তি'_ইহা হৈতে “প্রেমা' হয়। পঞ্চরাত্রে ভাগবতে এই লক্ষণ কয়।।”

11.তৃণের চেয়েও নীচ হয়ে বৃক্ষের মতো সহিঝুর হয়ে আত্মসন্মানিত হবার অভিলাষমাত্র না রেখে এবং অপর সকল জীবের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে সর্বদা যিনি হরিনাম সংকীর্তন করেন , তিনিই প্রকৃত বৈষ্ণব । 

12.সন্গ্যাসীর পক্ষে রাজ দর্শন বিষ ভক্ষণ তুল্য, কারণ রাজকীয় বৈভবের সংস্পর্শে সন্যাসীর হৃদয়ে বিষয় বাসনারপ প্রজ্বলিত অগ্নির অভ্যুদয় হতে পারে, যার ফলে সর্বত্যাগের আকাঙ্খা পুড়ে ছাই হয়ে যেতে পারে। 

13.আমাকে সন্ন্যাসী বা সাধক বা অবতার-__কিছুই ভেবো না। আমাকে তুমি সামান্য এক কৃষ্ণানুরাগী বলেই জেনো।

14.যাঁর মুখে একটিবার মাত্র কৃষ্ণনাম শুনবে, তাকেই জানবে সে বৈষ্ণব । একটিবার মাত্র কৃষ্ণনাম করলে সবপাপ চলে যায়। হৃদয়ে নতুন ভক্তির প্রকাশ হয়। 

15.কলিকালে ভক্তি ছাড়া পথ নেই। 'ব্রহ্ম” শব্দের অর্থ হলো যড়শ্বর্যপূর্ণ  ভগবান। তাকে নির্বিশেষ বললে তার পূর্ণতায় ক্ষতি হয়।

16.শ্রীকৃষ্ণ হলেন পরমেশ্বর, তার বিগ্রহ সচ্চিদানন্দময়। তিনি হলেন! অনাদি, তিনি সকলের আদি। তিনি সমস্ত কারণের মূল। 

17.শ্রদ্ধাভক্তি সহকারে কৃষ্ণনাম জপ করাই শ্রেষ্ঠ পথ।

18.সবসময় যাঁর মুখে কৃষ্ণনাম বা যিনি নিরস্তর কৃষ্ণনাম যপ করেন তিনি বৈষ্ণব শ্রেষ্ঠ। তাঁর চরণ বন্দনা করবে। 

19.শ্রীকৃষের প্রধান তিনটি শক্তি - চিৎশক্তি, জীবশক্তি এবং মায়াশক্তি ।  অনন্ত শক্তি শ্রীকৃষ্ণের। 





 

 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area