সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু হলো বাংলাদেশি লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের প্রসিদ্ধ উপন্যাস। এই উপন্যাসে তিনি বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। উপন্যাসটির মূল সারমর্ম হলো বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব ও সেই প্রভাবের সাথে সামাজিক সংঘর্ষ ও চারিত্রিক উত্থানের গল্প। এটি নারীর অধিকার, পরিবারের পরিস্থিতি, পরিবেশের পরিবর্তন, ধর্ম, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে প্রধানত উপস্থাপনা করে। বিশেষ করে উপন্যাসটি নারী স্বাধীনতা এবং পুরুষের প্রতি কর্তব্য নিয়ে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা করে।
সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু উপন্যাসে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস প্রধানত বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। এই উপন্যাসে তিনি কয়েকটি প্রধান চরিত্রের মাধ্যমে এই পরিবর্তনের প্রভাব ও মানুষের সংঘর্ষকে বর্ণনা করেন। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হলো রুবাব, যে বাংলাদেশের গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। রুবাব স্বপ্ন দেখে একটি নতুন পরিবারে থাকতে, কিন্তু তার বিবাহের পরিপ্রেক্ষিতে তার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। তার সাথে তার পরিবারের সদস্যরা অন্যান্য চরিত্রগুলির মধ্যে অভিযোগ, প্রেম ও পরিবারের সম্পর্কের চেষ্টা চলে। উপন্যাসে রুবাব এবং তার পরিবারের দুটি প্রধান চরিত্রের মধ্যে ঘটনা বিস্তারিত হলেও, তা মৌলিকভাবে একটি গাহানির সাথে সংস্কৃতির একটি দিক বর্ণনা করে। উপন্যাসে ইলিয়াস সামাজিক বিপ্লব, নারীর অধিকার, পরিবার ও সমাজের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করেন। তার মাধ্যমে পাঠকদের জীবনের পরিবর্তনের মাঝে প্রতিকূলতা এবং আশা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই উপন্যাসের মাধ্যমে ইলিয়াস সমাজের নানান চরিত্রের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন পাশাপাশি আলোচনা করেন এবং সামাজিক পরিবর্তনের জন্য মানুষের উপযোগী ভূমিকা প্রদান করেন।