জৈন ধর্ম প্রচারক তীর্থঙ্কর মহাবির খ্রিস্টপূর্ব ৫৯৯ অব্দে বৈশালীর এক ক্ষুদ্র গ্রাম কুন্তপুরে জন্মগ্রহণ করেন এবং খ্রিস্টপূর্ব ৫২৭ অব্দে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জৈন ধর্মের চতুর্বিংশতি তীর্থকররূপে তিনি সর্বত্র সম্মানিত হন। জৈন, বৌদ্ধ, ও হিন্দু শাস্ত্রে এই সম্প্রদায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। তাহারা সংসারের বন্ধন হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত, তাই তারা ইন্দ্র বিজয়ী, তাই অরিহন্ত। তাহারা পৃথিবীর সমস্ত লোভ ও আকর্ষণ তপোবনে জয় করিয়াছেন-- এজন্যই জিন বা জয়ী তাঁদের অনুসরণকারীগণ শ্রাবক ও অনুসারীণিগণ শ্রাবিকা নামে অভহিত।
মহাবীর অদৃষ্টবাদী ছিলেননা। ধর্ম্মচারণের দ্বারা মানব তার কর্মফল কে কল্যাণের পথে নিয়ন্ত্রিত করিতে পারে। জৈন ধর্ম ও বৌদ্ধ ধর্মে বিশেষ বৈসাদৃশ্য নাই। বস্তুত উভয়ই ধর্মই কতকাংশে হিন্দু ধর্মের মতবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত।
মহাবীর কোন নতুন ধর্ম প্রচার করেন নাই। তার ধর্ম --ত্যাগ,অহিংসা আর প্রেম। তিনি চেয়েছিলেন সকল মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তির বিকাশ লাভ। মানুষ আস্বাদন করুক মানবাত্মার অমৃতস্বরূপ; দুঃখ-দৈন্য আর পরিতাপ হইতে মুক্ত হইয়া তাহার এই আনন্দের অধিকারী হোক। এই আনন্দই মোক্ষ।এই আনন্দের মধ্যেই জীবনের পরম পরিতৃপ্তি।