মহান আল্লাহর মহত্ত্ব লিখে বা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। অতি ক্ষুদ্র প্রসারে আপনার চিন্তা শক্তির প্রসার ঘটানোর লক্ষে আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।
আল্লাহ সম্বন্ধে অতি-অল্প লোকেরই জ্ঞান আছে। আল্লাহ শব্দের অর্থ কেহ বড় জানে না বা জানিতেও চায় না। সসীম জ্ঞানধারী অসীমের পরিচয় কখনও লাভ করিত পারে না। আমরা আসমা- উল -হুসনার মধ্যে তাঁহার ৯৯ টি নাম পাই। তিনি অসীম। তাই তাঁহার নামের ছেফাতের সীমা নাই। সসীম মানব তাঁহার সম্পর্কে কি ধারণা করিবে?
আমরা "নূরুল-আলা-নূর পড়ি। ইহার অর্থ কয়জনে উপলদ্ধি করে? তিনি দীপ্তিময়। তত্ত্বজ্ঞানে অগ্রসর হইলে মানব তাঁহার দীপ্তি যথাতথা দেখিতে পায়। কেবল দীপ্তি নহে সেই দীপ্তিতে কত শক্তি নিহিত আছে তাহা এ যাবৎ কোন বান্দা তাহার কণামাত্র কল্পনা করিতে সক্ষম হয় নাই। তিনি দেহহীন, নিরাকার। বায়ু,তাপ, বিদ্যুৎ যেমন নিরাকার। কিন্তু এই তিনের মধ্যে কোন অজ্ঞাত শক্তি নিহিত আছে।
খোদওয়ান্দ করীম কেবল জ্যেতির্ষ্কয় নহেন তিনি শক্তিময়ও; সকল শক্তির ছেফাতের ভান্ডার। যাহার ক্ষুদ্র কণা মানব রূহে নিবিষ্ট। তিনি যত জগত আছে তাহার বহির্ভূত। চন্দ্র,সূর্য্য ও তারকামন্ডলী-- এই পৃথিবী অন্যান্য সৌরজগত হইতে বিক্ষিপ্ত এবং সকলেরই পরচিালনা একই স্রষ্টার হস্তে ন্যস্ত।
কেই কি তাঁহার করুণা উপলব্ধি করিতে পারে? তিনি সময় ও জমিনের বহির্ভূত। তিনি শক্তির ভান্ডার ক্ষুদ্র বান্দা চেষ্টা করিলে মুহুর্ত্তের মধ্যে তাঁহার করুণা উপলব্ধি করিতে পারে। কিরূপে অসীম শক্তি প্রত্যেক বান্ধাকে, প্রত্যেক নক্ষত্রকে,সৌরজগতকে পরিচালিত করিতেছে কেহ কি সে শক্তির কল্পনা করিতে পারে? তাঁহার আশেক হইলে মুহুর্তে মধ্যে তাঁহার রহমত অনুধাবন করিতে ক্ষুদ্র বান্দা সক্ষম হয়
আমি ক্ষুদ্রাদপি ক্ষুদ্র। বান্দার পদরেণু হইতেও জঘন্যতম। তবুও সেই অসীম শক্তির উপলব্ধি সময় সময় পাইয়া আমি জ্ঞানহারা হইয়া পড়ি। মানুষ কি কল্পনা করিতে পারে একটিমাত্র শক্তি গ্রহ, উপগ্রহ আর অগনিত সৌরজগতকে প্রতিপালন করিতেছে।
আর যদি ক্ষুদ্র বান্দা তাঁহার আশেক হয়, তিনি তাঁহার শক্তি আশেকের উপর ঢালিয়া দিতে থাকেন। আর আশেক সময়ের জন্য সেই শক্তিতে শক্তিমান হইয়া অচিন্ত্য ক্ষমতার পরিচয় দিতে পারে। এমনকি খোদা খোদ আশেকের আশেক হইয়া যান। ইহা কি মানুষ কখনো কল্পনা করিতে পারে?
পূর্ব্বেই বলিয়াছি, খোদা, রাসুল ও আশেক এক বৃত্তে তিনটি পুষ্পস্বরূপ। খোদার জ্যেতিতে, তাঁহার ছেফাতে, তাঁহার গুনাবলীতে হযরত রাসুলে করীম (সাঃ) ভরপুর ছিলেন এবং আশেক ও সেই শক্তিমান হইয়া অলৌকিক কাজ করিতে সক্ষম হন। খোদা অসীম হইলেও তিনি দয়ার সাগর, ক্ষমার সাগর, তাই ক্ষুদ্র বান্দাকে ইচ্ছা করিলে তিনি তাঁহার জ্যেতিতে জ্যেতিষ্মান করিতে পারেন। তাঁহার ভিতর যে শক্তি নিহিত রহিয়াছে তাহা খোদারই প্রতিভাস।
কোরআণপাকে বর্ণিত আছে " ইন্নি জায়েলুন ফিল্ আরদে খলিফা।'' নিকৃষ্টতম বান্দা তাঁহার প্রতিনিধি হইতে পারে, তাঁহার গুনাবলী ধারণ করিতে পারে; কেহ কি তাঁহার দয়ার পরিমাণ চিন্তা করিতে পারে? তিনি স্বীয় শক্তি ক্ষুদ্র বান্দার মধ্যে যতটুকু তাহার সসীম জ্ঞান ধারণ করিতে পারে তাহা দিয়ে নিজের আশেক বানাইতে পারেন?
প্রকৃতপক্ষে হযরত রাসুলে করীম (সাঃ) খোদারই প্রতিচ্ছবি। তবে খোদার শক্তি অসীম আর পরের শক্তি সসীম। আমরা সসীম জ্ঞান দ্বারা অসীম জ্ঞানের কণামাত্রও লাভ করিতে পারি না। আমাদের আছে খোদী,অহমিকা, রিয়া আরও কতকিছু আমরা অন্তরে পোষণ করি।
সেই অসীম জ্ঞানের এতটুকু মাত্র লাভের শক্তি নাই ক্ষুদ্র বান্দার। তবুও বান্দা যদি সকল অভিমান, সকল খোদী পরিত্যাগ করিয়া পরম আত্নার বিলাইয়া দেই তবে পরম আত্না ইচ্ছা করিলে সেই ক্ষুদ্র বান্দার প্রতি দয়াবান হইতে পারেন এবং তাহার গুনাবলী দ্বারা রজ্ঞিত করিতে পারেন ও স্বীয় ক্রোড়ে স্থান দিতে পারেন।
বান্দা তখন সমগ্র অলী-আল্লাহর সমকক্ষ হইতে পারে। আমরা কত আলেম দেখি, কত মাওলানা দেখি, সবই খোদী-পূজক। খোদার প্রতি আত্নাবিলীন করিতে কয়জনে পারে? আমরা সকলেই ছোট খোদা সাজি। তাই দুনিয়াতে তাহা (খোদা) হইতে দুরে থাকি।
আমাদের আছ তর্ক। তর্কবাগশীশ হইয়া অপরকে হেয় প্রতিপন্ন করি আর স্বীয় ক্ষমতালোভে ব্যস্ত থাকি। আমরা প্রর্কতপক্ষে শয়তানের চেলা। আমাদের মধ্যে আছে সম্মান-পূজা, ধন-পূজা। লক্ষের মধ্যে একজনও প্রকৃত খোদা পূজক আছে কিনা সন্দেহ। আমরা দানকে পূজা করি।
দাতাকে ভুলিয়া যায়। মৃত্যুর সহিত কেই সঙ্গী হবে না। সন্তান-সন্তুতি সবই পিছনে পড়িয়া থাকিবে। আর তাহাদের জন্য সমগ্র জীবন পূজা করি। দাতা কে পূজা কয়জন করি? আমাদের মধ্যে কয়জন আলেম খোদার শক্তি উপলব্ধি করে? আমরা চাই অপরে আমাকে পুজা করুক, আমাকে সম্মান করুক।
টাকা-পয়সা দিয়া আমাদের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করুক। আমাদের মধ্যে কজন আচে যাহার স্বীয় পূজা চাইনা? যাহারা সৃষ্টিকে পূজা করে না, যাহারা আপদে বিপদে সম্পূর্ণরূপ খোদারই উপর নির্ভরশীল?
আমরা প্রতিদিন পড়ি--"ইয়াকা নায়াবোদো।" কিন্তু সকলেই গায়ের খোদাকে এবাদত করি। আমরা আরও পড়ি-"ইয়াকা-নাস্তাইন।" কিন্তু আমরা গায়ের খোদার মদদ চাই। আসল খোদাকে ভুলিয়িা যাই আমাদের শিক্ষা তোতাপাখির মত। পাখিও আল্লাহর নাম রাসুলের নাম শিক্ষা করিতে পারে।
কিন্তু খোদাকে পাইতে পারে না। আমরা তোতাপাখির মত কথা বলি। কিন্তু আমল ও জ্ঞান নাই, মহব্বত নাই। এশক নাই ,নিভর্রতা নাই।--আছে কেবল গরিমা, সম্মান প্রাপ্তির ইচ্ছা। আর আছে সংসার পূজা, ধন পূজা জনাবেমান আপনার দোয়া করুন যেন বান্দা নামের উপযুক্ত হইতে পারি। গোলামের গোলাম হইয়া তৃপ্তি লাভ করিতে পারি। আর নিজেকে খোদার উপর বির্সজন দিতে পারি।
মানুষে মানুষে পার্থক্য না করি। অর্ন ধর্মকে ঘৃর্ণা না করি। কাউকে কাফের না বলি। সকলেরই মধ্যে আছে খোদারই বিভা,খোদারই শক্তি, খোদারই মহারূহের ক্ষুদ্র কণামাত্র। তাই যদি কোন বান্দাকে ঘৃণা করি তবে খোদাকে ঘৃর্ণা করা হয়। তাই বলি,বুঝ দাও, জ্ঞান দাও,নিজকে ধূলিকণায় মিশাইয়া যেন একেবারে বিলীন করিতে পারি। স্বীয় জ্ঞানাভাবের জন্য রোনাজারী করিতে পারি। আর অনুতপ্ত হৃদয়ে দুনিয়াবী ত্যাগ করিয়া প্রেমময়ের চিন্তায় সারা অন্তরটি দিয়া যেন প্রার্থনা করিতে পারি এবং তাহারই তাজ্জাল্লীর মধ্যে প্রবেশ করিয়া স্বীয় হাস্তিকে নিস্ত (নিশ্চহ্ণ) করিতে পারি।
স্রষ্টার মহত্ত্বের পরিচয় সূরা আর-রহমানে কিঞ্চিত বর্ণিত আছে। কোন সৃষ্ট-বস্তু নাই যাহার মধ্যে তাহার শক্তি নিহিত না আছে। বান্দা কতটুকু জ্ঞান রাখে? যিনি জ্ঞানময়, শক্তিময়, দয়াময়, ক্ষুদ্র বান্দা তাহার ধারণা করিতে অক্ষম। 'তিনি রহমানুর রহীম',সদা নামোজে পড়িয়া থাকি। কিন্তু তাহার মহত্বের কতটুকু জ্ঞান ক্ষুদ্র বান্দা পোষণ করে। তাহার জ্ঞানের কিঞ্চিৎমাত্র পরিচয় পাওয়া যায় জ্যেতির্বিদ্যা পাঠে, উদ্ভিদবিদ্যা পাঠে, রসায়ন ও ভূবিদ্যা পাঠে, পদর্থবিদ্যা ও ভূগোল পাঠে, ইতিহাস ও বিজ্ঞান পাঠে। ক্ষুদ্র মানব স্বীয় মস্তিষ্কের কতটুকু খবর রাখে?
কিরূপে সমগ্র কুরআন মস্তিষ্কের মধ্যে লিপিবদ্ধ থাকে, কিরূপে মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটে কয়জন তাহা চিন্তা করে? পাকস্থলীতে খাদ্য কি রূপে রক্তে পরিনত হয় এবং কি উপায়ে অখাদ্য বহির্গত হইয়া বান্দাকে খেদমত করে কয়জন তাহা চিন্তা করে?
আমাদের পৃথিবী ক্ষুদ্র উপগ্রহ, শূনো ভাসমান। কিরূপে ঋতুর পরিবর্তন হয়, কিরূপে চন্দ্রগ্রহন, সূর্য্য গ্রহন ঘটে কয়জন তাহা খবর রাখে? কিরূপে দিবাভাগ বর্দ্ধিত হয়, কিরূপে রাত্রভাগ হ্রাসপ্রাপ্ত হয় কয়জন তাহা খবর রাখে? সকল চিকিৎসার মূলে আছে গাছের লতাপাতা ও মূল। এ্যালোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক, কবিরাজী ও হাকিমী ইহাদের সাহায্য গ্রহণ করে।
এখনও বহু উদ্ভিদ আছে যাহাদের গুনাবলির পরিচয় আমরা লাভ করি নাই। প্রত্যেকটি গাছ সৃষ্টির উপকার সাধনহেতু-- ফুলের রং,ফুলের সুগন্ধ, তৃণের সবুজ-বর্ণ, বৃক্ষপত্রের সবুজ বর্ণ সূর্য্যের দ্বারাই সাধিত। কয়জনে তাহা খোজ রাখে? আমাদের দেহ মধ্যস্ত যে বিষাক্ত গ্যাস বহির্গত হয় কয়জন বান্দা তাহা খবর রাখে? মলমুত্র দ্বারা অন্যকারে মানুষের কি উপকার সাধিত হয় এবং শষ্যক্ষেত্রের সজীবতা কিরূপে তাহার দ্বারা সমাধা হয় কয়জন তাহা খবর রাখে?
মৎস্যের মধ্যে ফুসফুস আছে যাহার বলে কোন কোন মৎস্য পানির উপর ভাসিতে পারে, আবার তাহার সংকীর্ণতা-হেতু কোন মৎস্য পানির অতল গহব্বরে শায়িত থাকে। কয়জন তাহা খবর রাখে? নদীর স্রোত দ্বারা পঁচাসড়া কত বিষাক্ত বস্তু সমুদ্রে নিপতিতি হয়, সমুদ্রস্ত হাঙ্গর তিমির দ্বারা কিরূপে ভক্ষিত হয় কে তাহা খোঁজ রাখে? ভূভাগের নিচে কত চুম্বক নিহিত আছে যাহার দ্বারা ভূগ্রস্থ বস্তু নিম্ন- দিকে আকৃষ্ট হয় এবং বায়ুমন্ডলের উর্দ্বভাগে বস্তুর ভার কেন হালকা হইতে থাকে কয়জন তাহা খেয়াল করে?
বিশাল নভোমন্ডলে তারকারাজী কিরূপে শূন্যভাবে বিরাজিত আছে, কিরূপে আলোক প্রদান করে এবং কিরূপে শূন্যমন্ডলে অনাকৃষ্ট থাকে, কে তাহা খবর রাখে? মেঘের মধ্যে বিদ্যুতের ক্রীড়া আমরা দর্শন করি। কিন্তু বজ্রপাত কিংবা বিদ্যুতের শব্দ কত পরে শ্রুতিগোচর হয় এবং কিসে আলোকের গতি ও শব্দের গতি বিভিন্ন সময়ে অনুভুত হয় আমরা তাহার কোন কারণ চিন্তা করি কি?
ভূ-মন্ডলের অভ্যন্তরে কত খনিজ পদার্থ বিভিন্ন আকারে বর্ত্তমান আছে সৃষ্টের উপভোগ-হেতু কয়জন তাহা চিন্তা করে? অগ্নির দ্বারা কাষ্ঠ দগ্ধ হয় এবং বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয়। সেই বিষাক্ত
গ্যাস কি উপায়ে সংশোধিত হয় কয়জন তাহা ধারণ করতে পারে। বৃক্ষপত্র সূর্যের
দ্বারা শক্তি অর্জন করে বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস কে পরিশোধিত
করে। কয়জন তাহা খবর রাখে। গৃষ্মকালে প্রস্তররাশি রৌদ্র তাপে তপ্ত
হয়। কিন্তু বায়ু কেন তপ্ত হয়না কে তা চিন্তা করে?
বান্দার মধ্যে যে রুহ
আছে এবং তাতে যে বিবেক শক্তি আছে, সে যে দয়াময়ের গুণের অধিকার লাভ করে
এবং কিরূপে নফসানিয়াত হীনবলকরত করুনাময়ের সান্নিধ্য হাসিল করে কে তাহা
চিন্তা করে? বান্দাকে জ্যোতির্ময় খোদা কিরূপে জ্যোতিষ্মান করে কয়জন
তাহা খবর রাখে? পক্ষীকুল শেষ রাত্রিতে দয়াময়ের গুণকীর্তন করিতে থাকে, বিভিন্ন স্বরে ও ভাষায়। গর্বিত বান্দা তদ্বারা কিরূপে উপকৃত হয় তাহা কি
খেয়াল রাখে? তাই বলি, দয়াময়ের দয়া সৃষ্টির প্রতি কিরূপে নিহিত এবং তার
শক্তিতে কিরূপে শক্তিমান অন্ধ মানব তাহা কি চিন্তা করে?
হে করুণাময়! একবার বান্দার চক্ষু উন্মীলন করো। তোমার দয়া,তোমার শক্তি, তোমার জ্যোতির কিয়দংশ চিন্তা করিতে পারে এবং তোমাতে আত্মনিয়োগ করতে পারে ইহাই যেন অন্ধ মানব ধারণা করতে সক্ষম হয় এবং নিজেকে তোমারি পাদপদ্মে আত্মসমর্পণ করতে পারে, জীবনকে ধন্য করিতে পারে, ধরাবক্ষে আখেরাতের শান্তি অর্জন করিতে পারে।
হে করুণাময়! একবার বান্দার চক্ষু উন্মীলন করো। তোমার দয়া,তোমার শক্তি, তোমার জ্যোতির কিয়দংশ চিন্তা করিতে পারে এবং তোমাতে আত্মনিয়োগ করতে পারে ইহাই যেন অন্ধ মানব ধারণা করতে সক্ষম হয় এবং নিজেকে তোমারি পাদপদ্মে আত্মসমর্পণ করতে পারে, জীবনকে ধন্য করিতে পারে, ধরাবক্ষে আখেরাতের শান্তি অর্জন করিতে পারে।
তোমার প্রত্যেকটি সৃষ্ট-বস্তুু আকাশমণ্ডল, ভূমন্ডল ও সমুদ্র
প্রত্যেকটিতে তোমার দয়ার, তোমারি অনুগ্রহের পরিচয় তা যেন তোমার বান্দা এই
ধারা বক্ষে উপলব্ধি করিতে সক্ষম হয়। আর তোমারই সন্তোষ সাধনে নির্দিষ্ট
থাকে। তুমি সকলকে বিবেকদান করিয়াছ। প্রত্যেক বান্দা সৎ অসৎ চিন্তা করিতে
পারে যাতে আত্মগরিমা হইতে নিষ্কৃতি লাভ করিতে সমর্থ হয়। তোমারি বান্দা
তোমারি করুণা উপলব্ধি করিতে পারে ও তোমার ইয়াদ করিত পারে, ইহাই প্রার্থনীয়,
আমিন