Type Here to Get Search Results !

#Advertisement

কোরআনের বাণী

 কোরআনের বাণী

(১) তোমার নিজের প্রতি যেরূপ ব্যবহার চাও প্রত্যেকের প্রতিও সেরূপ ব্যবহার কর।

(২) আমি আল্লাহ্ সব্বজ্ঞানী।

(৩) আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কোন খাদ্য নাই। তিনি চিরজীবন্ত, স্বয়ম্ভু, যাঁহার দ্বারা সকল বস্তু জীবন লাভ করে।

(৪) আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসুলকে মান্য কর।

(৫) হে মোমেনগন! আমি তোমাদের যে-সব হালাল দ্রব্য দিয়াছি তাই ভক্ষণ কর ও আল্লাহকে ধন্যবাদ দাও।

(৬) লোকের সম্পত্তি আত্নস্যাৎ করিও না।

(৭) আল্লাহর বাণীকে উপহাস করিবে না।

 

(৮) নিশ্চয় আল্লাহ সৎকার্য্য সাধন করিতে ও আত্নীয়-স্বজনকে দান করিতে আদেশ দেন।

(৯) তোমার প্রভুকে বিনয়ের সাথে নির্জ্জনে ডাক।

(১০) আমার প্রতি ও মাতা -পিতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও।

(১১) সত্যই কোরআন আল্লাহর সত্যিকার উপাসকদিগের প্রতি এক মাহবাণী। 

(১২) নামাজের সময় যাহা সুন্দর তাহা পরিবে।

 

(১৩) হে বিশ্বাসীগণ, ভক্তিতে মস্তক অবনত কর। ভূমিতে প্রণত হও। তোমার প্রভুর আরাধনা কর এবং সৎকার্য্য কর তাহা হইলে তোমার সমৃদ্ধি হইবে।

(১৪) বিশ্বাসী সতী নারীকে যে অপবাদ দেয় তাহার এ-জীবন ও পর- জীবন অভিশপ্ত। তাহার জন্য কঠোর শান্তি।

(১৫) বিশ্বাসী নারীগনকে বলো 'তাহারা যেন দৃষ্টি অবনত রাখে ও নিজের শ্লীলতা রক্ষা করে।'

(১৬) যাকাত দাও।

(১৭) নিশ্চয় আল্লাহ সহিষ্ণুদের সঙ্গী।

 

(১৮) যাহারা মোমেন, আল্লাহর প্রতি তাহাদের প্রেম গভীরতর।

(১৯) সন্দেহ পরিত্যাগ কর, সন্দেহ করা পাপ। ঘৃণা করিও না, অহংকার করিও না। নিশ্চয়ই আল্লাহতা'য়ালা অহংকারীকে ভালবাসেন না।

(২০) লোকের সাথে বিনয় ও ভদ্রতার সঙ্গে কথা বলো।

(২১) এতিমের প্রতি দুর্ব্ব্যবহার করিবে না।

(২২) যখন আজান শুনিবে তখন সকল কর্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া আল্লাহর এবাদাতে ছুটিবে।

 

                                            ইসলাম ধর্মের ব্যাপকতা


যুগে যুগে ভ্রান্ত মানবকে পদ দেখাইবার জন্য পরওয়ারদেগার নবী পাঠাইছিলেন কোন বিশেষ দেশ বা জাতির জন্য। কিন্তু আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে একটি দেশ বা জাতির মুক্তির জন্য পাঠান নাই। তাহাকে পাঠাইলেন সমস্ত জগদ্বাসীর মুক্তির জন্য এবং কল্যাণের জন্য। পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বমুহূর্তে আল্লাহতালা প্রথম হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর  নূর সৃষ্টি করে সযত্নে রক্ষিত করিয়া রাখিলেন। তার জন্ম সম্বন্ধে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে অনেক ভবিষ্যৎবাণী রয়েছে।পারসিকদের জেন্দাবেস্তায় আছে, পরম দয়াল বিজয়ী পুরুষ রাজ্য স্থাপন করবেন, তাহার নাম হইবে মোহাম্মদ। দয়ার জীবন্ত মূর্তি তিনি সর্ব পৃথিবীর জন্য মনোনীত হইবেন

পুরাণের তৃতীয় পর্বে লিখিত আছে ''হে আরব দেশের অধিবাসী মহাপুরুষ মোহাম্মদ! তুমি নিরক্ষর হইলেও পুত চরিত্র, পবিত্র আত্মা অতএব তোমার নিকট প্রণত  হই।


বাইবেলে আছে, যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন, "আমার প্রস্থান তোমাদের মঙ্গলের জন্য  কেননা আমি গেলে তোমাদের নিকট প্যারাকিলেট আসিবেন।" এই হিব্রু শব্দের প্রকৃত অর্থ প্রশংসিত মোহাম্মদ শব্দের অর্থ প্রশংসিত

কুরআনে বর্ণিত আছেঃ ইসলাম সমস্ত জগদ্বাসীর জন্য মনোনীত ইসলাম অর্থ ত্যাগ এই ত্যাগের ধর্ম প্রচার করিবার জন্য করুনাসিন্দু হযরত মুহাম্মদ, ধৈর্যের অবতার হযরত মুহাম্মদ, সমস্ত জগদ্বাসীর ত্রাণকর্তা হযরত মুহাম্মদ, দয়ালু হযরত মুহাম্মদ, বাদশা হযরত মুহাম্মদ, ফকির হযরত মুহাম্মদ, আদর্শ মানব হযরত মুহাম্মদ, কল্যাণকামী হযরত মুহাম্মদ, দেশপ্রেমিক' হযরত মুহাম্মদ আসিয়াছিলেন আরবের মরুভূমির বুকে

  তিনি ৫৭০খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন তার জন্মের সময় সাহারা মরুভূমি আলোকিত হয় চতুর্দিকে সুরভিত হয়, তখন সকলের ঘরে ঘরে আনন্দের রোল পড়ে যায়।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ আসিয়াছিলেন দুনিয়ার পাপী-তাপী কে উদ্ধার করিতে, একেশ্বরবাদ শিক্ষা দিতে, প্রেম শিক্ষা দিতে, ত্যাগ শিক্ষা দিতে, ভালোবাসা শিক্ষা দিতে,ভালবাসা শিক্ষা দিতে, ভ্রাতৃত্ব শিক্ষা দিতে, ভেদাভেদ জ্ঞানের তিরোভাব শিক্ষা দিতে, গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে, এবং স্ত্রী পুরুষের সমান অধিকার শিক্ষা দিতে


তার জন্মের ছয় মাস পূর্বে তাহার পিতা আব্দুল্লাহ  ইন্তেকাল করেন শিশু মোহাম্মাদ চাঁদের কলার মত বড় হইতে লাগিলেন ধাত্রী মা হালিমার কোলে পাঁচ বছর বয়সে মা আমিনার কাছে শিশু মুহাম্মাদ ফিরিয়া আসিলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় পর বছর তাহার মাতা পরলোকগমন করেন এখন এতিম মোহাম্মদ দাদা আবদুল মুত্তালিব এর নিকট প্রতিপালিত হতে থাকিলেন শিশু মোহাম্মাদ যতই বড়ো হইতে লাগিলেন ততই পৃথিবীর বিচিত্র সুভা অবলোকন করিতেন আর ভাবে বিহব্বল  হইয়া পড়িতেন, রঙিন ফুল, সবুজ পাতা, নীল আকাশ, চন্দ্র সূর্য তারকা দল পাখির গান-- এইসব দেখিতেন আর স্রষ্ঠার প্রতি প্রগাঢ় ভক্তিতে অশ্রু বিসর্জন করিতেন


তারপর ১২ বছর বয়স কালে তাহার চাচা আবু তালেব এর সঙ্গে কখনো ইয়েমেনে, কখনো শামদেশে, কখনও তায়েফে সওদাগীরিতে যাইতেন বালক মাথায় নিতেন বোঝা আর গরম বালুকার উপর দিয়া  হাটিয়া যাইতেন বালক একমনে চলিতেন আর দেখা যাইত এক টুকরো মেঘ বালকের মাথায় যেনো ছাতা ধরিয়া আছে ইহা দেখিয়া সবাই অবাক! শাম দেশের জৈণক পাদ্রী বালকের মাথার উপর মেঘের অনুসরণ দেখিয়া বুঝিতে পারিলেন এই বালক সাধারন বালক নয় এই বালক ঈশ্বর প্রেরিত পয়গম্বর

আমার নবী মোহম্মদ (সাঃ) নানাবিধ জ্যোতির্ময় দৃশ্য দেখিতেন, আর সময় সময় অশ্রুতপূর্ব আহব্বান তিনি কানে শুনিতেন একদিন হেরা পর্বতের নির্জন গুহায় জিব্রাইল মারফত নব্যুয়াতপ্রাপ্ত হইলেন

তিনি চারিদিকে ইসলামের বাণী একেশ্বরবাদ বিশ্বের ঘরে ঘরে পৌছাইয়া দিতে লাগিলেন তিনি ছিলেন আদর্শ স্বামী, আদর্শ পিতা, আদর্শ শিক্ষক, আদর্শ নেতা, আদর্শ  দাতা, আদর্শ সম্রাট, শিষ্টাচার ও বিনয়ের অবতার, আশেক শ্রেষ্ঠ ,উপাসক শ্রেষ্ঠ,কর্মী শ্রেষ্ঠ,দয়ার আকর, এতিমের রক্ষক,ক্ষমার প্রস্রবণ,ধৈর্যের প্রতিমূর্তি,মঙ্গলের নিদান রাহমাতুল্লিল আলামিন
তিনি ছিলেন ত্যাগ, ক্ষমা, তিতিক্ষা, সাধুতা, প্রেম, ধৈর্য, সাহস ও শৈার্যের সমাহার বিশ্বের সার্বজনীন ধর্মগ্রন্থ পাক-কোরআন তাঁহার নিকট পাঠানো হইলো বিশ্বের মুক্তির জন্য আর তিনি দুনিয়ার বুকে তাহার অমৃতময় বাণী হাদিস রাখিয়া গেলেন




Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area