Type Here to Get Search Results !

#Advertisement

কনফুসিয়াস কে নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

 চীন দেশের শানতুং প্রদেশের 'লু' নামক স্থানে কনফুসিয়াস জন্মগ্রহণ করেন সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০ অব্দে। তাহাকে লোকে ধর্মগুরু বলিয়া জানি তো।


তিনি বলিতেন "মানুষকে ভালবাসা, মানুষকে বুঝিতে পারা বিজ্ঞান।" তিনি আরো বলেছেন, ঈশ্বর-প্রদত্ত প্রকৃতি অনুযায়ী কাজ করাই হইল কর্তব্যের পথ।  কেবলমাত্র কতগুলি বিধি-নিষেধ ও আচার পালনই কর্তব্য নহে।

 ঈশ্বর প্রদত্ত বিচারশক্তি ও জ্ঞানের পূর্ণ বিকাশই কর্তব্য। চীনাদের বিশ্বাস : 'য়িয়াং' হইলো স্রষ্টা, সূর্য হইল এই স্রষ্টার বহিঃপ্রকাশ। এই স্রষ্টাকে কনফুসিয়াস ঈশ্বর বা ঐশ্বরিক শক্তি বলিয়া উল্লেখ করেছেন।

 কনফুসিয়াসের শিক্ষা কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

 রাজ রাজাড়াদের জন্য তিনি বিশেষ কর্তব্যের পথ বলিয়াছেন। আবার সাধারণে যাহাতে নিজেদের জীবন উন্নততর করিতে পারে সে উদ্দেশ্যেও নির্দেশ দিয়েছেন।

 রাষ্ট্রপ্রধান তার কাজ-কর্মের মাধ্যমে এমন উদাহরন রাখিয়া যাইবেন  যাহা প্রজাদের অনুসরণোপযোগী হয়। সেসময় চীন দেশে রাজাদের আপন কর্তব্য সম্বন্ধে যথেষ্ট সচেতন থাকিতে হইত। কনফুসিয়াসের মত জনকল্যাণই হইল রাষ্ট্রের মুখ্য উদ্দেশ্য। এই পৃথিবীতে মানুষ  ও ঈশ্বরের মধ্যে এক অবিচ্ছেদ্য যোগসুত্র হইল তাহার শিক্ষার মূল ধারা। স্ত্রী জাতি সম্পর্কে তিনি বলেছেন গৃহকর্মই তাদের ধর্ম।


নফুসিয়াসের শিক্ষার সংক্ষিপ্ত সার:-


১। এক পিতা-মাতাকে মানিয়া চলায় শ্রেষ্ঠ পুণ্য
২। লোকের হৃদয় যদি জয় করিতে চাও, উদার হও। যদি লোকের বিশ্বাস পাইতে চাও, সত্যবাদী হও। আত্মমর্যাদা হারাইও না, যদি অপরের শ্রদ্ধাভাজন হইতে চাও।
৩। কেবলমাত্র নির্বোধ রায় অন্যের সৎ পরামর্শ উপেক্ষা করে।
 ৪। কথা ও কাজের সামজ্ঞস্যই  চরিত্র গঠনের প্রধান সোপান।
৫। অন্যের যে ব্যবহার তোমার বিরক্তি উৎপাদন করে, সেরূপ ব্যবহার অন্যের প্রতি ভুলেও করিও না 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area